কেন অধরের সরপুরিয়া অধরা অন্য়দের কাছে
- Subrata S
- Aug 15, 2017
- 1 min read
নদীয়ার জেলা সদর কৃষ্ণনগর। ঘূর্ণির মৃত্শিল্পী থেকে গোপালভাঁড়, কৃষ্ণনগরের খ্য়াতির কারণ বহুবিধ। তবে, সেই খ্য়াতির মুকুটে অালাদা পালক যুক্ত করেছে সরপুরিয়া, সরভাঁজা। চারপুরুষের দোকান। সাকুল্য়ে মাত্র ১১৭ বছর। এক চিলতে ঘরে পথ চলা শুরু করলেও অাধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম্পিউটার থেকে ওয়েবসাইট সব কিছুই এসেছে সময়ের প্রয়োজনে। বহুতলটি তিনতলার। নিচের তলায় অধরের মিষ্টির দোকান। যার পরিচিতি নেদিয়াপাড়া, কৃষ্ণনগরের গন্ডী পেরিয়ে ছড়িয়েছে রাজ্য়ের সর্বত্র ।

দোকানির (ক্য়াশ কাউন্টারে এক মহিলা) কথায়, 'স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন অধরবাবু। সেই স্বপ্নেই ছিল রেসিপির রহস্য়। তৈরি হল সরপুরিয়া, সরভাঁজা। অন্য়রাও চেষ্টা করেছে অনেক। কৃষ্ণনগরের অনেক দোকানেই বিক্রি হয় সরপুরিয়া, সরভাঁজা। কিন্তু তা অধরের মিষ্টির স্বাদের কাছে বরাবরই ম্লান।'

৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে পাবেন সরপুরিয়া। সরভাঁজাও ৫০০ -র অাশেপাশে। প্রতিদিন বিক্রি প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কেজি।

অাদি দোকান ছাড়াও কৃষ্ণনগরে রয়েছে অারও তিনটি দোকান। কলকাতার ইকোপার্কের বিশ্ব বাংলা হাটেও অাছে একটি বিপণি। তাছাড়া, বাঞ্ছারামের মিষ্টির দোকানেও রোজই ট্রেনে করে যায় মিষ্টি।
তবে শুধু অাম-জনতা নয়। সরপুরিয়ার কদর ছিল গুণীজনদের মধ্য়েও। সূচিত্রা সেন, উত্তমকুমার, মান্না দে অধরের সরপুরিয়ায় মজেছেন সকলেই। এসেছিলেন এই মিষ্টির দোকানেই। সরভাঁজার স্বাদ নিয়েছিলেন স্বয়ং বিধানচন্দ্র রায়ও।
Comments